Thursday, February 28, 2008

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবিতে শতাধিক নিহত


বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবিতে শতাধিক নিহত : ৩০ লাশ উদ্ধার বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহি লঞ্চ ডুবে শতাধিক যাত্রীর সলিল সমাধি হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ সন্ধ্যায় ৮ শিশু, ১৪ মহিলাসহ ৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ গতকাল বিকালে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর ( চীন মৈত্রী সেতু-১) পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে৷ ঢাকার সদরঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের বালিগাঁও যাওয়ার পথে সৌরভ-১ নামের দোতলা লঞ্চটিকে পেছন থেকে একটি বালুবাহী ট্রলার ধাক্কা দিলে লঞ্চটি কাত হয়ে মুহর্ূর্তের মধ্যে ডুবে যায়৷ লঞ্চে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল৷ ঘটনা তদনত্মে পাঁচ সদেস্যর তদনত্ম কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ নৌ পরিবহন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম এ মতিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনাসদস্য, দমকল, কোস্টগার্ড, র্যাব ও পুলিশ৷ ট্রলারটি আটক করা হয়েছে৷ চালকসহ অন্যরা পালিয়ে গেছে৷ নিহতদের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে৷ এরা হচ্ছেন মিনাৰী (৩০), তার দুই মাসের ছেলে জোনাক ও মেয়ে কুহেলী (৩), নয়ন (২৬), বিউটি আক্তার (২৭), স্বামী মোশারফ হোসেন, তার আড়াই বছরের শিশু কন্যা ছোঁয়া, গ্রাম মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ, লিপি আক্তার (২৫), স্বামী মানিক মিয়া, কাউলাইল, ফতুলস্না, রণজিত ঘোষ (৫০), পিতা জীবন ঘোষ, নিতাইবাজার, মুন্সিগঞ্জ, আরাফাত (৫), মনোয়ারা (৫০), জয়নব (৪২) ও আনোয়ারা বেগম (৫৫), স্বামী ইসমাইল হোসেন, গ্রাম ধামালি, মুন্সিগঞ্জ, ফরহাদ হোসেন( ৬) পিতা আশরাফ হোসেন, গ্রাম রাধানগর, ফতুলস্নাহ, সুুকুমার (৫০) ও তার ছেলে নয়ন পাল (২৬), ১১/১১ লালমোহন পোদ্দার লেন, ঢাকা, আনেয়ারম্নল ইসলাম (৪০) গ্রাম অমৃতপুর, কেরানীগঞ্জ, হেলাল মিয়া (১২) পিতা লতিফ ফকির, জাঙ্গাইল, বরিশাল, আবদুল হাকিম (৪০), পিতা বিলস্নাল হোসেন, রামনগর, ফতুলস্না, নামজা (২৭), জয়নব (৩৫), শ্রীকৃষ্ণ (৩০), রোকেয়া (৫০), আলম (৩৫), আকলিম (৩৬), জরিনা (৫০)৷ দৰিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতর্া সেলিম সাজ্জাম জানান, পরিচয় পাওয়া লাশগুলো তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছে৷ প্রত্যৰদশর্ী পুলিশ সদস্য ফারম্নক হোসেন জানান, বেলা ৩টার দিকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে সৌরভ-১ লঞ্চটি সদরঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের বালিগাঁয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়৷ বৃহস্পতিবার থাকায় অন্যান দিনের চেয়ে যাত্রীসংখ্যা বেশি ছিল৷ লঞ্চটি বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর কাছে (ঢাকা জুট মিল ও পোসত্মগোলা শ্মশানের মাঝামাঝি) পেঁৗছালে পেছন থেকে দ্রম্নতগতিতে আসা মেসর্াস ইব্রাহিম শিপিং লাইনের বালুবাহী বলগেট 'আল আমিন 'সৌরভ-১ লঞ্চের পেছনদিকে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়৷ সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটি ঘুরে যায়৷ এরপর পশ্চিমদিকে হেলে পড়ে মুহর্ূতের মধ্যে ডুবে যায়৷ প্রত্যৰদশর্ী লিটন জানান, লঞ্চের দোতলায় থাকা ৬০/৭০ জন যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে সৰম হয়৷ লঞ্চের ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে দুই-একজন ছাড়া কেউ বের হতে পারেননি৷ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লঞ্চযাত্রী রিতা বেগম জানিয়েছেন, শাশুড়ি ও শিশু সনত্মানকে নিয়ে তিনি বালিগাঁও যাচ্ছিলেন৷ লঞ্চ ডুবে যাওয়ার সময় তারা ভেতরে আটকে পড়েন৷ তিনি বলেন, 'আমি ছেলেকে বুকে জড়িয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতে থাকি৷ এক পযর্ায় জালানা দিয়ে বের হতে সৰম হই৷ পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে৷' দুর্ঘটনায় নিহত রিতার শাশুড়ির লাশ উদ্ধার করেছে দমকল কমর্ীরা৷ মুমূর্ষু অবস্থায় সনত্মানকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে৷ প্রাণে বেঁচে যাওয়া দেলোয়ারা বেগম (৪০) জানান, তিনি ১১ বছরের নাতি জীবনকে নিয়ে মেয়ে জোসনার ফতুলস্নার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন৷ তিনি প্রথমে জীবনকে জানালা দিয়ে নদীতে ফেলে দেন৷ এরপর তিনিও ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ স্থানীয় লোকজন নৌকা যোগে তাদের উদ্ধার করে৷ তিনি বলেন লঞ্চের নীচ তলায় শতাধিক যাত্রী ছিল৷ এদের মধ্যে ৩০/৪০ জন নারী ও শিশু ছিল৷ কেরানীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার নূর আহমদ জানান, সন্ধ্যা পর্যনত্ম দমকল বাহিনীর ডুবুরীরা লঞ্চের ভেতর থেকে ৩১টি লাশ উদ্ধার করেছে৷ নৌ-পরিবহন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমএ মতিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ তিনি নিহতদের স্বজনদের সানত্ম্বনা ও ৰতি পূরণের আশ্বাস দেন৷ নদীর দুই তীরে লঞ্চ যাত্রীদের স্বজনসহ অসংখ্য মানুষ ভিড় করে৷ দমকল বাহিনীর ডুবুরীরা একেকটি লাশ উদ্ধারের পরপরই স্বজনদের আহাজারি চলছে৷ দমকলের ডুবুরী আবুল খায়ের জানান, আমরা কেবল লঞ্চের বাইরে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি৷ ভেতর বিশেষ করে কেবিনে অনেক লাশ থাকার আশংকা রয়েছে৷ উদ্ধার কাজ বলগেট আল আমিনের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া সৌরভ-১-এর হতভাগ্য যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধারে দমকল বাহিনীর একদল ডুবুরী প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সন্ধ্যা পর্যনত্ম ৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করলেও নদীর গভীরতা ও পানি ঠাণ্ডা থাকায় ডুবুরীদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল৷ ডুবুরীরা জানিয়েছেন, তাদের ধারণা লঞ্চের ভেতর আরো অনেক লাশ রয়েছে৷ সন্ধ্যা পর্যনত্ম বিআইডবিস্নউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পেঁৗছেনি৷ পেঁৗছেছে উদ্ধারকারী দল৷ সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিআইডবিস্নটি'র চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান হাওলাদার ঘটনাস্থলে যান৷ তিনি সাংবাদিকদের জানান, চার সদস্যের উদ্ধারকারী একটি ডুবুরী দল রওনা হয়েছে৷ এছাড়া নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ 'রম্নসত্মম' বিকাল ৫টায় রওনা হয়েছে৷ তিনি ঘটনার জন্য তদনত্ম কমিটি গঠনসহ নিহত প্রতিজনের জন্য ২০ হাজার টাকা ৰতিপূরণ প্রদানের কথা বলেন৷ ঘটনার পর থেকে ঢাকার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে দমকল বাহিনীর ডুবুরীরা মৃতদেহ উদ্ধার কাজ শুরম্ন করে৷ উদ্ধার কাজে র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা ছাড়াও পোসত্মগোলার সেনাসদস্যরা অংশ নেয়৷ দমকল বাহিনীর উদ্ধারকারী দল কাজ শুরম্ন করে বিকাল ৪টার দিকে৷ তবে পানির গভীরতা ও ঠাণ্ডার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে ডুবুরীরা জানিয়েছেন৷ রাত ৯টা পর্যনত্ম উদ্ধারকারী জাহাজ 'রম্নসত্মম' ঘটনাস্থলে পেঁৗছেনি৷ তদনত্ম কমিটি গঠন বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনা তদনত্মে সরকার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এমএ মতিনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদনত্ম কমিটি গঠন করেছে৷ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিআইডবিস্নউটিএ'র সচিব, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এবং ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার৷ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদনত্ম রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শোক বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরম্নদ্দীন আহমদ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন৷ রাষ্ট্রপতি তার বিবৃতিতে উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার এবং আহতদের দ্রম্নত চিকিত্‍সা সেবা প্রদানের জন্য সংশিস্নষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন৷ তিনি নিহতদের রম্নহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসনত্মপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন৷ প্রধান উপদেষ্টা তার বিবৃতিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসনত্মপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান৷ তিনি আহতদের সুচিকিত্‍সা নিশ্চিত এবং দ্রম্নত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন৷ এছাড়া স্থায়ী কমিটি মনোনীত বিএনপি'র অস্থায়ী মহাসচিব হাফিজউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন৷ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি প্রদানের দাবি জানান৷

আসুন দুনর্ীতিবাজদের ঘৃণা করি

আসুন দুনর্ীতিবাজদের ঘৃণা করি সেবাখাত (বিদু্যত্‍, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন), পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে দুনর্ীতির প্রমাণ কল্পকাহিনী বা রূপকথার কাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে৷ দুনর্ীতিবাজেরা সংগঠিতভাবে, সংঘবদ্ধভাবে অপরাধ করে এবং এভাবে কৃত অপরাধগুলো অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দেবার বা প্রমাণবিহীন করার মতো কৌশল অবলম্বন করে৷ আর এভাবেই সম্ভব হয়েছে সেবাখাতের নির্দিষ্ট একটি খাতে নিম্নপদস্থ কোনো ব্যক্তির হাজার কোটি টাকা বানানো, সেটা পত্রিকার হেডলাইনে এসেছে৷ দুনর্ীতিবাজরা আমাদের দেশের সৰমতা হ্রাস করে, অর্থনীতি ধ্বংস করছে, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘি্নত করছে এবং তাদের বিলাসী জীবনযাপনের লৰ্য অর্জনের জন্য নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে৷ আমাদের সত্‍ চিনত্মাকে হত্যা করে, স্বাধীনতাকে অপহরণ করে একটি অসহায়, নিরাশ জাতিতে পরিণত করছে৷ এসব অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে, আসুন, আমরা সবাই মিলে দুনর্ীতিবাজদের ঘৃণা করি৷ আলস্নাহ আমাদের মাতৃভূমিকে রৰা করম্নন৷

তরম্নণ নেতৃত্ব সময়ের দাবি

তরম্নণ নেতৃত্ব সময়ের দাবি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন অনেক কিছু বদলায়, তেমনি দেশ পরিচালনার জন্য নেতৃত্বেও পরিবর্তন প্রত্যাশিত৷ আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা দলীয় প্রাথর্ীর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা প্রায় নতুন৷ যেমন ডেমোক্রেট দলের দু'জনের মধ্যে বারাক ওবামা নতুন মুখ৷ আমাদের দেশে বিগত ৩৬ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে৷ কিন্তু মৃতু্য ছাড়া এখানে নেতৃত্বে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি৷ এদেশে যেহেতু রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কোনো সংস্কৃতি বা প্রথা গড়ে ওঠেনি৷ আমৃতু্য নেতৃত্বে থাকার প্রবল ইচ্ছা৷ তাই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি বাধাগ্রসত্ম হয়েছে৷ নির্বাচনের সময় দেখা গেছে ঘুরে-ফিরে একই মুখ নির্বাচন করছে এবং জনপ্রতিনিধি হচ্ছে৷ ৰমতার কলকাঠি তারাই নেড়েছে৷ এতে অনিয়ম, দুনর্ীতি ব্যাপক আকার ধারণ করছে৷ তাই আজ সময় এসেছে তরম্নণ নেতৃত্ব সৃষ্টির, যারা দেশকে উন্নয়ন, সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে৷ যুগে যুগে তরম্নণরাই বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে৷ তারাই দেশের প্রাণশক্তি৷ এক সময় দেশে শিৰার হার যেমন কম ছিল, তেমনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও হাতেগোনা কয়টি ছিল৷ কিন্তু কর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়েছে অনেক৷ এতে উচ্চশিৰা লাভের ব্যাপক প্রসার ঘটছে৷ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও বৈচিত্র্যময় বিষয়ে পড়াশোনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বিভিন্ন ৰেত্রে তারা দৰ হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে মেধাবীরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে৷ এতে একদিকে মেধা পাচার হচ্ছে, অন্যদিকে জাতি মেধাবীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ কিন্তু এরা যদি দেশকে নেতৃত্ব দেয়, নিঃসন্দেহে দেশ উপকৃত হবে৷ কারণ তারা আধুনিক শিৰায় শিৰিত এবং দেশ-বিদেশের বাসত্মব অবস্থা সহজে অনুধাবনে সৰম৷ বর্তমানে যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা যেই পন্থি হোন, ৰমতাসীনদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিংবা ৰমতায় যেতে আগ্রহী, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, শততার অভাব রয়েছে ৷ তারা দুনর্ীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন৷ তাদের কেউ কেউ উচ্চশিৰিত হয়েও জ্ঞানপাপী৷ তারা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার নেজুড়বৃত্তি করতে ব্যসত্ম৷ তাই পরিচিত ও পুরাতন এইসব নেতৃত্বের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না৷ আবার অনেক নতুন তথা ছাত্রনেতা নিকট অতীতে দুনর্ীতিতে জড়িয়ে গেছেন৷ তাই পরীৰিত, নিবেদিতপ্রাণ তরম্নণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ পরিশেষে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সত্‍, উচ্চশিৰিত সর্বোপরি দেশপ্রেমিক তরম্নণ নেতৃত্ব সময়ের দাবি৷ এ ব্যাপারে সচেতন দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে৷

জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশেরও নিচে নামবে

চলতি অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসবে৷ পরপর দুইদফা বন্যা ও সাইক্লোন, ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থাহীনতা এবং বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে৷ বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলে চলতি অর্থ বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার বর্তমান ডাবল ডিজিট থেকে ৮ থেকে ৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ডিসেম্বর মাসের কোয়ার্টারলি ইকনোমিক আপডেট-এ এ কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, সার ও জ্বালানি তেল আমদানি করতে গিয়ে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভতর্ুকি দিতে হচ্ছে৷ এতে চলতি অর্থ বছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পেঁৗছাবে৷ তাই বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকারের ভতর্ুকি কমানো উচিত৷ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলৰে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হুয়া দু এবং ইকোনমিক টিমের প্রধান রেজাউল করিম খান৷ শেরে বাংলানগরের এডিবি কান্ট্রি অফিসে সংবাদ সম্মেলন হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে দৃশ্যত কিছু ভয় ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু সরকার এখন ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এছাড়া অভ্যনত্মরীণ উত্‍পাদন কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে৷ বলা হয়, আনত্মর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভতর্ুকি মূল্যে জ্বালানি তেল ও সার কেনায় আর্থিক ভারসাম্যে চাপ পড়ছে৷ এজন্য এ বছর ডিজেল ও কেরোসিনে সরকারকে জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভতর্ুকি দিতে হবে৷ তাই ভতর্ুকি পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিত৷ এছাড়া কেরোসিন ও ডিজেল যেহেতু গরীব লোক ব্যবহার করে তাই তা বিক্রিতে আরো স্বচ্ছতা আনতে হবে৷ প্রতিবেদনে ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থাহীনতা এবং তৈরী পোশাক পণ্য রফতানিতে মন্দাবস্থার কারণে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে উত্‍পাদন কমে গেছে বলে উলেস্নখ করা হয়৷ এডিবি মনে করছে, চলতি অর্থ বছর কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ৷ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শস্য, গবাদিপশু, পোল্ট্রি এবং মত্‍স্যখাতে ব্যাপক ৰতি হওয়ায় সার্বিকভাবে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে৷ বার্ড ফ্লু জনিত কারণে দেশের বিপর্যসত্ম পোল্ট্রি শিল্পখাতকে রৰা করতে সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে৷ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারের ফলে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে উন্নতি হচ্ছে৷ তবে জ্বালানি তেল ও সারে ভতর্ুকি , বন্যা ও সাইক্লোন পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সরকারের বাড়তি ব্যয়ের কারণে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে৷ এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হুয়া দু বলেন, অর্থর্নৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রসত্ম হচ্ছে৷ ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের ব্যবস্থা করা উচিত৷

সৌদিতে বাংলাদেশী শ্রমিক ছাঁটাই

সৌদিতে বাংলাদেশী শ্রমিক ছাঁটাই সৗদি আরব বাংলাদেশী শ্রমিক ছাঁটাই প্রশ্নে অনড় অবস্থান নিয়েছে৷ তারা বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শনে রাজি নয়৷ সৌদি সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করা যাচ্ছে না৷ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী সৌদি শ্রমমন্ত্রী ডঃ গাজী আল গোসাইবির সঙ্গে সাৰাতের সময় চেয়েছেন৷ কিন্তু সৌদি মন্ত্রী এখনও সময় দেননি৷ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে৷ সৌদি শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে সুবিধাজনক সময়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ অপরদিকে একটি সূত্র জানায়, সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ওপর নিবর্তনমূলক এই খড়গ তুলে নেয়ার জন্য প্রয়োজন রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ট অথবা প্রভাবশালী কোন ব্যক্তিত্বের৷